বাজারের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেই মিলছে আলু। পেঁয়াজের দোকানগুলোতেও থরে থরে সাজানো আছে পেঁয়াজের বস্তা। তারপরও দাম চড়া। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। মহল্লার কিছু কিছু দোকানে ৭০ টাকা পর্যন্ত আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। কোনো কোনো দোকানে ১০০ টাকায়।
আলু পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। মাস খানেক আগে ঢাকার খুচরা বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হয় ৫০ টাকার আশপাশের দরে। আজ খুচরায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। তবে এলাকাভিত্তিক ছোট বাজার ও মহল্লায় কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার মৌসুমে দর বেশি থাকায় অনেক কৃষক অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আলু উৎপাদন হয়নি। তাছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকও দর বাড়িয়েছেন।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আলুর দর রাজধানীর বাজারে গত এক মাসে প্রায় ১২ ও এক বছরে ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটির দৈনিক প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের এ সময় খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। সে হিসাবে, এক বছরে আলুর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫০-৬০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, টমেটো ১৫০ টাকা, শশা ১৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের কিছুটা দাম কমলেও তা ২৫০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকার উপরে দাম ছিল।