দেখতে দেখতে চলে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রায় এক মাসব্যাপী জমজমাট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ। মুখোমুখি দুই অপরাজিত দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
এবারের আসরে খেলা মোট ৭ ম্যাচের সবগুলোতে জয় পেয়েছে ভারত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে কোনো বল মাঠে গড়ানোর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়াররা।
অপরদিকে গ্রুপ পর্ব শুরু করে এই পর্যন্ত ৮ ম্যাচের ৮টিতেই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপের আসরে খেললেও এবারই প্রথম ফাইনালে উঠতে পেরেছে প্রোটিয়ারা। এর আগে বেশ কয়েকবার সেমিতে খেলেছিল তারা। তবে ভাগ্যের নির্মমতায় বারবারই হারতে হয়েছে তারকা ঠাসা দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
বিশ্বকাপের আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণে ‘চোকার্স’ তকমা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার কটূ করা সেই তকমা মোছার সুযোগ এসেছে। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে বৈচিত্র্য আসার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পেতে পারে এবারের বিশ্বকাপ।
অপরদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর ৭টি আসর চলে গেলে শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। ২০১৪ সালের আসরে ফাইনালে গেলেও শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল রোহিত শর্মাদের।
এছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আইসিসির কোনো শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। সর্বশেষ ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল ভারতীয়রা।
অবশেষে ভারতের সামনে এবার দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার হাতছানি। রোহিতের দল এবার বেশ আত্মবিশ্বাসী। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে অপরাজিত থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল রোহিত-কোহলিরা। এবার সেই শোকই হয়তো শক্তিতে রূপান্তরিত হবে ভারতের জন্য।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে এর আগে মোট ৬ বার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ৪টিতে জয় পেয়েছে ভারত। আর বাকি ২টিতে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার। পরিসংখ্যানে ভারত এগিয়ে থাকলেও নিজেদের দিনে যেকোনো করে বসতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচটি জমজমাট হবেই বলে আশা করা হচ্ছে। ম্যাচটি হবে বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে।
বার্বাডোজের পিচ আগের ম্যাচগুলো বিবেচনায় পেসারদের জন্য সহায়ক হতে পারে। চলতি আসরে এই পিচেই সবচেয়ে বেশি ৫৯ উইকেট শিকার করেছেন পেসাররা। এই ম্যাচে রান উঠতে পারে ভালো। কারণ, চলতি আসরে এই পিচে ২০০ রানের কোটা পার হওয়ার রেকর্ডও আছে।