নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদী জমি, গাছপালা। ভাঙনের মুখে পড়ে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের কয়েকশ পরিবার।
রোববার (৩০ জুন) সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতি নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড শিয়রবর গ্রামে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও, এবারের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম, আলাউদ্দিন,বালাম, চুন্নুমিয়া,আফজাল মোল্লা, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্লা, ওসমান মুন্সী জানান, মধুমতি নদীর ভাঙনে তাদের বসতবাড়ি বার বার নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব মানুষেরা নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে করে বসতভিটা কখন নদীর পেটে চলে যায়, তার ঠিক নেই। এবার বাড়ি ভাঙলে মাথাগোঁজার ঠাঁই থাকবে না তাদের।
রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া বলেন, ৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ পর্যন্ত তিনবার ভাঙনের শিকার হয়েছি। এবারও ভাঙনের মুখে।
বালাম মোল্লার স্ত্রী তহমিনা বেগম বলেন, এর আগে দুই বার বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এ বছরও ভাঙনের মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।
শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের রামকান্তপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আশিকুল আলম বলেন, এভাবে মধুমতি নদীর ভাঙন চলতে থাকলে এক সময় রামকান্তপুর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষেয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙনরোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।