বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর ভেতর লালদিয়া নামে একটি দ্বীপে মাইন বিস্ফোরণে টেকনাফের বাসিন্দা এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দু’জন।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে নাফ নদীর মিয়ানমারের জলসীমায় লালদীয়ার চর নামক একটি ছোট দ্বীপে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দমদমিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মো: জুবায়ের।
বিস্ফোরণে আহতরা হলো টেকনাফের হ্নীলা দমদমিয়া গ্রামের মো: কামাল হোসনের ছেলে শাহ আলম ও একই ইউনিয়নের জাদিমুড়ার মেস্তারির ছেলে মো: শুক্কুর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনি।
ভিকটিমের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রোববার দুপুর ১২ টার দিকে নাফ নদীতে লালদীয়ার চর নামক ওই দ্বীপে তিন বাংলাদেশী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: জুবায়ের তার সঙ্গীয় শাহ আলম, মো: শুক্কুর কাঁকড়া শিকার করতে যান।
কাঁকড়া ধরার একপর্যায়ে বিকেলের দিকে ওই দ্বীপে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো: জুবায়েরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত উড়ে যায়।
বাম পায়ের কিছু কিছু জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এবং তার সাথে থাকা শাহ আলম ও মো: শুক্কুর এ দুইজনেও আহত হয়।
পরে শাহ আলম ও মো: শুক্কুর দ্রুত তাদের গ্রামে চলে এলে আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
তবে মো: জুবায়ের না আসায় তার ভাই মোহাম্মদ আয়াজ ঘটনাস্থলে গিয়ে মো: জুবায়েরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এলে সেখানে মো: জুবায়ের মারা যায়।
ওসি আরো জানান, নিহত মো: জুবায়েরের লাশ বর্তমানে তাদের বাড়িতে আছে। এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ওসি জানায়।
টেকনাফ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তপন কুমার বিশ্বাস জানান, মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। নিহত জোবায়ের পুরাতন রোহিঙ্গা। তার পরিবার অনেক বছর আগে বাংলাদেশে এসে বন বিভাগের পাহাড়ি জায়গায় বসবাস করে আসছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফন করা হবে বলে তিনি জানান।