কারফিউ শিথিল হওয়ায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে রাজধানীবাসীর। প্রথমদিকে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা করে শিথিলতা থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ ঘণ্টায়। ফলে শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষের ভিড় বেড়েছে রাস্তায়। কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো। খুলেছে মার্কেট দোকানপাটও, যদিও বেচাকোনা তেমন একটা নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলন, সহিংসতা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। কারফিউ চলাকালে সব স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড থেমে যায়। কোটা সংস্কারে আপিল বিভাগের রায় এবং সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে পরিস্থিতি। তবে কারফিউ চলমান রাখা হয়, যদিও তা শিথিল হয়ে বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলছে। দিনটি রয়েছে কারফিউমুক্ত। এ অবস্থায় অফিসের কর্মঘণ্টাও বেড়েছে। এখন অফিস-আদালত চলছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা। এতদিন ৩ ঘণ্টা করে চলছিল অফিস।
কারফিউ শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে জনজীবনে ফিরেছে গতি, বেড়েছে কাজের চাপ। শুনশান নীরব রাজধানী এখন আবারো কর্মমুখর হয়ে উঠছে। রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ ভাড়া করা বিভিন্ন যানবাহন এখন পাল্লা দিয়ে চলছে।
তীব্র যানজটে নাকাল ঢাকার রাস্তা
বর্তমানে অফিসের নতুন সময়সূচি ছয় ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারফিউ শিথিল থাকে ১১ ঘণ্টা। এতে কর্মজীবী মানুষসহ জরুরি প্রয়োজনে সবাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। একসঙ্গে সড়কে প্রচুর গাড়ি নামায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাখালী, বাড্ডা, মগবাজার, ধানমন্ডি, বিজয় সরণি ও বনানী এলাকা ঘুরে যানজটের দৃশ্য দেখা যায়।