টানা ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের ৯ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২ লাখ মানুষ। সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বুধবার (৩১ জুলাই) রাত ২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিন কক্সবাজারে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান।
তিনি বলেন, টানা দুদিনের বৃষ্টিতে জেলাতে ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে কক্সবাজার অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন দিনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এ দিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের শিক্ষক মোস্তফা সরওয়ার বলেন, ‘কুতুবদিয়া পাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাক পাড়া, নাজিরারটেকসহ আট গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকায় ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করেন।
এ ছাড়াও বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজার শহরের গোলদিঘীরপাড়, বৌদ্ধ মন্দির এলাকা, কলাতলী, সদর ইউনিয়নের ঝিলংজা ইউনিয়নের ২০টির বেশি গ্রাম। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত এলাকা উখিয়া উপজেলা।
সেখানে দেড় শতাধিক গ্রামের দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
উখিয়া হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে উখিয়া হলদিয়া ইউনিয়নে ২০ গ্রামের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি। এতে বন্যা সৃষ্টি হতে পারে। নৌকা নিয়ে মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের চেষ্টা করছি।’
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পৌর এলাকার কুতুবদিয়া পাড়া, ফদনারডেইল, মোস্তাক পাড়া, নাজিরারটেকসহ আট গ্রাম। এসব এলাকায় ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করেন।