বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুরে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্গে রাখা আছে। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষে হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত যে সব ছাত্রের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন – সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সাব্বির। সে দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। একই উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে কাওছার। সে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ওসমান গনি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ৮ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সদর থানা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করতে প্রশাসনের একটি দল গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে এখনও আগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন।