শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর চুয়াডাঙ্গায় বিজয় উল্লাস করেছেন ছাত্র-জনতা। এর সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বের হয়। আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন তারা। এর পাশাপাশি হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য (সাবেক) সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় তার ভাই ও ভাতিজার বাড়িতেও। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুব লীগের অফিসেও হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের বাড়ি ও অফিসে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইভাবে অন্যান্য নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। লুটপাট করা হয় মালামাল।
এদিকে, শহরের হাসপাতাল সড়কে যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে চার যুবক নিহত হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা ওই বাসায় বসবাসকারী কেউ নন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এসময় আরও ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তেও কাজ চলছে।