• রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

উদয় হাকিমের কথায় গাইলেন নচিকেতা

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। জীবনমুখী গান গেয়ে দুই বাংলাতে সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় এই শিল্পী নিজের লেখা গান গাইতেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু এবার বাংলাদেশের লেখক উদয় হাকিমের লেখা একটি গানে কণ্ঠ দিলেন নচিকেতা। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে মিউজিক ভিডিও। এতে মডেলও হয়েছেন এই শিল্পী।
এ প্রসঙ্গে উদয় হাকিম বলেন, এক সকালে অভিনেতা রানা অফিসে এসে বললেন, একটা ধারাবাহিক নাটকের স্ক্রিপ্ট দেন। জবাবে বললাম, কর্পোরেট অফিসে জব করে এখন আর স্ক্রিপ্ট লেখার সময় কই? একটা সময় স্ক্রিপ্ট লিখেছি, নির্দেশনাও দিয়েছি। এখন আর পারব না। রানা নাছোড়বান্দা। একদিন নিয়ে আসলেন পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহ নান্টুকে। তিনি পরিচালনা করবেন, একটা স্ক্রিপ্ট লিখতেই হবে। তৎক্ষণাৎ একটি গল্পের সারাংশ বলে ফেললাম। তার পছন্দ হয়ে গেল। নাটকের নাম ফেসবুক।’
উদয় জানান, লিখতে শুরু করলাম। এক সকালে বাসা থেকে অফিসে আসার পথে গাড়িতে বসেই লিখে ফেললাম নাটকের টাইটেল সং। ঢাকার এক শিল্পীকে দিয়ে গাওয়ানো হলো। কিন্তু পছন্দ হলো না। বললাম, এটা কেবল নচিকেতা চক্রবর্তী গাইলেই পারফেক্ট হতে পারে।
রানা আর নান্টু গেলেন কলকাতা। নচিকেতা জানালেন, তিনি অন্যের গান করেন না। স্ক্রিপ্ট দেখানো হলো। পছন্দ করলেন। গাইলেন। দারুণ গেয়েছেন! পরে অবশ্য আমার লেখা গান নিয়ে একটা অ্যালবাম করার প্রস্তাব দেন ‘নচিদা’।
‘আমি ধন্য অ্যালবামটির কাজ এখন চলছে। তারপর আরেক দফা কলকাতা গিয়ে ভিডিওগ্রাফিও করে ফেললেন রানা-নান্টু জুটি। ভিডিওটা খুব একটা পছন্দ না হলেও এটা আমার জন্য বিরাট কিছু। কারণ এখানে মডেল হয়েছেন আমার প্রিয় গায়ক নচিকেতা নিজেই। এদিকে নাটকের ২৬ পর্বের স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ। ঢাকার একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথাও হয়েছে। অপেক্ষা শুধু ওয়ার্ক অর্ডারের। সেটি পেলেই নাটকের শুটিং শুরু হবে। নাটকটিতে বেশ কিছু চমক থাকবে। সেটুকু বলবেন রানা-নান্টু।’
‘ফেসবুক’ নামে গানটির সুর করেছেন নচিকেতা নিজেই। সংগীতায়োজনে ছিলেন কলকাতার আরেক বিখ্যাত মিউজিশিয়ান গুরু চরণ। সম্প্রতি গানটি নিয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ নান্টু।
নচিকেতা ছাড়াও এতে মডেল হয়েছেন বাংলাদেশের আমিন রানা এবং কলকাতার লিজা কানুনগো। গঙ্গা নদীর তীরসহ কলকাতার বিভিন্ন স্থানে এর দৃশ্যায়ন হয়। গত ১৫ নভেম্বর গানটি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ