ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একদিনে নিহত হয়েছেন ৩২ জন। তাদের নিহত হওয়ার মধ্যে দিয়ে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯ হাজার ৯২৯ জনে। এছাড়া গত ১০ মাসে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন ৯২ হাজার ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত গাজার দুই এলাকায় বোমা ও রকেট হামলায় ৪০ জন নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের আড়ালে চাপা পড়েছেন। ধ্বংসস্তূপের কারণে ওই দুই এলাকার অনেক সড়কও বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। সেই হামলায় মোট নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
আকস্মিক এই হামলার পর ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। এ অভিযানে গত ১০ মাসে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অভিযানের শুরু থেকে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার— ৩ দেশ। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য দু’পক্ষকে একটি নতুন চুক্তির আওতায় আনতে চেষ্টা করেছেন মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। আজ ১৫ আগস্ট ছিল সেই চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক। ইসরায়েল এবং হামাস নেতাদের সেই বৈঠকে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছিল।
ইসরায়েল তাতে সায় দিলেও হামাস জানিয়েছে, নতুন কোনো বৈঠকে তারা বসবে না।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি