মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যস্ততাকারীদের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলছে, ইসরাইলের একগুঁয়েমির কারণেই চুক্তিটি হচ্ছে না।
গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নবমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিনকেন। একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তিনি চেষ্টা করেন। কিন্তু এখনো সফল হতে পারেননি।
মঙ্গলবার তিনি মিসরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তা আল-সিসির সাথে সাক্ষাত করেন। মিসরীয় নেতা তাকে আরো বড় আঞ্চলিক সঙ্ঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন।
ব্লিনকেন মিসর থেকে কাতারের রাজধানী যান। সেখানেও তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন।
দোহা ত্যাগের আগে তিনি আবারো একটি চুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, কেবল ইসরাইলি পণবন্দী এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্যই নয়, বরং আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়া প্রতিরোধ করার জন্যও যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুবই প্রয়োজন।
এর আগে ব্লিনকেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংশোধিত প্রস্তাব ইসরাইল মেনে নিয়েছে। এখন হামাসকে তা মেনে নিতেই হবে।
কিন্তু হামাস বলছে, সর্বশেষ প্রস্তাবটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মে মাসে দেয়া মূল কাঠামোগত চুক্তি থেকে সরে গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে কায়রোতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হলেও যুদ্ধবিরতি চুক্তি হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
নেতানিয়াহু এখনো জোর দিয়ে বলছেন যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অবশ্য গাজার কৌশলগত স্থানগুলোতে অবস্থান করবে। এছাড়া হামাসকে নির্মূল করাসহ তাদের ঘোষিত লক্ষ্যগুলোও তারা হাসিল করবে। আর তা করার জন্য আবার যুদ্ধ শুরু করতে হলেও তারা তা করবে।
অন্যদিকে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি করছে।
সূত্র : আল জাজিরা, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য