কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ভারত ‘দিল্লির ক্রীতদাস’ শেখ হাসিনার পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।
শনিবার(২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় নোয়াখালী ইসলামী আন্দোলন উদ্যোগে নোয়াখালী সুপার মার্কেট মোড়ে জেলার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা সভাপতি মাওলানা মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভারত ‘পরিকল্পিত’ পানি আগ্রাসনে মেতে উঠেছে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। তারা এ দেশকে একটি নতজানু, তাঁবেদার ও পঙ্গু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তারা আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ খুলে দিয়ে কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ‘দিল্লির ক্রীতদাস’ খুনি হাসিনার পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে প্রতি বছর বর্ষাকালে চুবিয়ে ও গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে মারছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এজন্য আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশ সরকারকে মামলা করে অধিকার আদায় করতে হবে, জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, আজ বিপ্লবোত্তর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের তরুণদের অর্জিত বিপ্লবের বিরুদ্ধে। জনগণকে সজাগ থেকে অর্জিত বিপ্লব সুফল না পাওয়া পর্যন্ত যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বানভাসি মানুষের জন্য তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের পানিতে আজ আমরা ডুবে মরছি। হু হু করে পানি বাড়ছে। বানভাসিদের রক্ষায় প্রত্যেককে মানবিকতার দিক থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার মতো একটি পুতুল ফ্যাসিবাদী সরকারকে আমাদের ওপর চাপিয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের নামে ভারত এ দেশে যেসব অনাচার করেছিল, আমরা তার কিছুই ভুলিনি। ভারত সেসবের দায় এড়াতে পারে না। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট দানবকে এ দেশের তরুণ শক্তি উৎখাত করতে পেরেছে। তারুণ্যের এই শক্তির মর্ম ভারত যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, জেলা সহ সভাপতি মাও. ইউসুফ ভূইয়া, মাওলানা ফিরোজ আলম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন হারুন। সংগৃহীত
