• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

বন্যায় চাঁদপুরে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

চাঁদপুরের ৬ উপজেলায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের পানি নেমে বন্যা পরিস্থিতির এখনও অপরিবর্তিত। উল্টো বানের পানিতে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, কচুয়া, হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ এবং শাহরাস্তি উপজেলার লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট ) রাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং উজানের পানি নেমে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী, বালিয়া, চান্দ্রা, লক্ষ্মীপুর, রাজরাজেশ্ব ইউনিয়ন, হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর, দক্ষিণ এবং চর ভৈরবী ইউনিয়ন, হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্তব্যপুর উত্তর -দক্ষিণ, ৬ নম্বর বড়কুল ইউনিয়ন, শাহরাস্তি পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকা, উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়ন, রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন, সুচিপাড়া উত্তর ইউনিয়ন, সুচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন, চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন, চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়ন, কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়ন, ফরিদগঞ্জ পৌর ও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে দুই-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নের মধ্যে ৬৪টি স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ও প্লাবিত হয়েছে। এতে ৭ হাজার ২৩টি পরিবার পানিবন্দি এবং ১ লাখ ২১ হাজার ২৮৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার ৪৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ এবং ৯৪০টি পশু, হাঁস-মুরগি আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১০ থেকে ১২ দিনের ভারী বৃষ্টিতে চাঁদপুর জেলার ৬২টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ৮০১টি পুকুর-দিঘি ও ৫৫টি ঘের থেকে ১৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিভিন্ন চাষ করা মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে। সেখানে ৬ হাজার ৫০০ পুকুর-দিঘি ও ৫০টি ঘেরের ১৪ কোটি ৯৭ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। হাজীগঞ্জের ৩৭৪টি পুকুর-দিঘি, ফরিদগঞ্জে ১ হাজার ২৫০টি, চাঁদপুর সদরের ৪৫০টি, মতলব দক্ষিণের ১২০টি, কচুয়ার ৭২টি, হাইমচরের ৩২টি ও মতলব উত্তরের তিনটি পুকুর-দিঘির মাছ ভেসে গেছে। এখনও এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকায় বিপাকে পড়েছেন মৎস্য খামারি ও চাষিরা।

চাঁদপুর জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, ৩২ হাজার হেক্টর জমির আংশিক এবং ১৮ হাজার ৭৫৩ হেক্টর জমির ধানের চারা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সাড়ে ৪৫ হাজার কৃষকের প্রায় ৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ