রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির! একটি নয়, একাধিক। কারও মুখে মরা জীবজন্তু, তো কেউ খাবারের খোঁজে হন্য হয়ে এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভারতের গুজরাতে বরোদা শহরে বন্যা পরিস্থিতির চিত্র এটি। কুমিরের আতঙ্কেও ভুগছেন সেখানকার বানভাসী। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে।
গত তিন দিনে সেই রাজ্য থেকে মোট ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে গুজরাতে বিশ্বামিত্রিসহ বেশ কয়েকটি নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। নদীর পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। পাশাপাশি বিশ্বামিত্রি নদী থেকে একাধিক কুমিরও ঢুকে পড়েছে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে।
বিশ্বামিত্রি নদী বরোদা শহরের মাঝ বরাবর বয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে বর্তমানে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ ফুট ওপর দিয়ে বইছে। এর ফলে নদীর পানি ঢুকে পড়েছে বরোদা এবং আশপাশের নিচু এলাকাগুলিতে। সেই পানির সঙ্গেই ঢুকেছে নদীর অনেক কুমিরও। বরোদা শহর এবং আশপাশের লোকালয়ে কুমির ঘুরে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে।
এর মধ্যে একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মুখে মরা কুকুর নিয়ে বরোদার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি কুমির। আবার একটি কুমির ভেসে যাওয়া একটি নিচু বাড়ির ছাদে উঠে পড়েছে। বরোদা এবং আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
যারা রয়ে গেছেন, তারা প্লাবনের পাশাপাশি কুমিরের আতঙ্কেও তটস্থ। প্লাবিত এলাকাগুলিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কুমিরের ভয়ে ঘরের ভিতরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে গুজরাতের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৮ হাজার মানুষকে। তবে প্রশাসনের চিন্তা এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও গুজরাতের ১১টি জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।