গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সাথে সম্পর্ক থাকার দায়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ছয় নেতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। হামাস নেতা ইয়াহিয়াও রয়েছেন আসামির তালিকায়।
নিউ ইয়র্ক সিটিতে দায়ের করা এই অভিযোগে ‘বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনকে’ বস্তুগত সহায়তা প্রদান এবং এর ফলে মৃত্যুর জন্য তাদেরকে দায়ী করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এসব অভিযোগেই শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইরান সরকার এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সহায়তায় ইসরাইলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল হামাস। আর তারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাও করেছে।
অপর যেসব হামাস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল হানিয়া (তিনি ৩১ জুলাই তেহরানে ইসরাইলি গুপ্ত হামলায় নিহত হয়েছেন), মারওয়ান ইসা (হামাসের সশস্ত্র শাখার উপনেতা), খালেদ মিশাল (দোহাভিত্তিক হামাস নেতা), মোহাম্মদ দেইফ (হামাসের সামরিক শাখার প্রধান, জুলাইতে ইসরাইলি হামলায় নিহত), আলী বারাকা (লেবাননে সিনিয়র হামাস নেতা)।
এই মামলার প্রভাব অনেকটাই প্রতীকী। সিনওয়ারসহ অন্যদের নিউ ইয়র্কে এনে বিচার করা প্রায় অসম্ভব। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এই ছয়জনের অন্তত একজনকে নিউ ইয়র্কে এনে বিচার করার ব্যাপারে আশাবাদী।
আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের ডিস্টিঙগুইশ ফেলো রামি খাউরি বলেন, হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান চলমান সঙ্ঘাতে তার মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে ইসরাইলকে সমর্থন করে থাকে। ফলে এসব অভিযোগে বিষ্ময়ের কিছু নেই।
তিনি বলেন, আরো তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র হামাস নেতাদের বিচার করতে চাইলেও গণহত্যা, শিশুহত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করতে চাচ্ছে না।
সূত্র : আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরাইল