জেল থেকে মুক্তি পেলে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান।
সম্প্রতি তোশাখানা সম্পর্কিত একটি নতুন মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে অনুষ্ঠিত আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন ইমরান খান এ হুঁশিয়ারি দেন।
শুক্রবার এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনএবি তদন্ত কর্মকর্তা মহসিন হারুনকে উদ্দেশ্য করে ইমরান খান বলেছেন, ‘আপনাদের করা মামলাতেই আমার স্ত্রী এখন কারাগারে বন্দি। একবার মুক্তি পেতে দিন, এ মামলাগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব এবং আপনাদের ছাড়ব না’।
ইমরান খানের এ বক্তব্য দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এনএবির কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিশ্চিতভাবে ভিত্তিহীন।
ইমরান খান এ সময় অভিযোগ করে বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।
স্ত্রী বুশরা বিবির নামে দেওয়া মামলাগুলোর প্রসঙ্গ তুলে ইমরান খান এনএবির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেল থেকে একবার বের হই, আমি এনএবি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনব’।
তার এমন বক্তব্যের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এনএবির কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশটিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ইমরান খানের এ হুঁশিয়ারি তার সমর্থকদের মধ্যে আরও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যাদের অনেকেই তাকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার’ হিসেবে দেখছেন।