বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পাঁচটি ট্রলারসহ ৮ মাঝি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়ে পুলিশ। দুর্ঘটনায় দেলোয়ার মাঝি নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাতের মধ্যে মেঘনা নদীর কয়েকটি এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকরা হলেন – বাবর মাঝি, জান মিয়া, দেলোয়ার মাঝি, হেলাল উদ্দিন, শহীদ মাঝি, মেহরাজ মাঝি ও ইউনুছ মাঝি।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিনে মাছ ধরার জন্য উপজেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে গভীর সাগরে যায় বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার। সাগর উত্তাল থাকায় বিকেল থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করে। ঘাটে ফেরার সময় ট্রলারগুলো বৈরী আবহাওয়ায় ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে এবং মেঘনা নদীর মোহনায় বিভিন্ন সময়ে ১০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়।
পরে পাশে থাকা মাছ ধরার অন্য ট্রলারগুলো কয়েকজন জেলেকে উদ্ধার করে। তবে জেলেদের মাছ ধরার জাল ও ট্রলার নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মেঘনা নদীতে যাওয়া আরও কয়েকটি ট্রলারের এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ জানান, তাৎক্ষণিক কয়েকজন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ৫টি ট্রলারসহ ৮ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নিখোঁজ জেলেদের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।