প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ুদূষণ। দূষণ বাড়ছে বাংলাদেশের মেগাসিটি ঢাকার বায়ুতেও। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) মানদণ্ড অনুযায়ী, ২১৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।
আজ শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ার সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দিল্লির স্কোর ১৮৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর। ১৭৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। ১৬০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এরপর ১৩০ স্কোর নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারতের আরেকটি শহর কলকাতা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।