লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরের কাছে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর মতে, তেল আবিবের কাছে অবস্থিত এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি ছিল তাদের হামলার প্রধান লক্ষ্য।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক হামলা তীব্রতর হয়েছে। একযোগে বিস্ফোরক পেজার ও ওয়াকি-টকির মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি, ভয়াবহ বিমান হামলায় লেবাননের বহু অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বহু সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে এই হামলাগুলোর পেছনে, যদিও এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা নিহত:
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে হিজবুল্লাহর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের একজন শীর্ষ কমান্ডার, ইব্রাহিম মুহাম্মদ কুবাইসি, নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আগেই দাবি করেছিল যে বৈরুতের দক্ষিণে অবস্থিত ঘোবেইরি শহরতলিতে বিমান হামলা চালিয়ে কুবাইসিকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা কুবাইসির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাদের মতে, তিনি হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০০০ সালে ইসরায়েলের তিনজন সৈন্যকে অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতি:
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার থেকে ইসরায়েলের টানা হামলায় অন্তত ৫৬৯ জন নিহত এবং ১,৮৩৫ জন আহত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে যে, হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন।