সারা দেশে একযোগে পরিচালিত হওয়া অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামটি আর থাকছে না। তবে নাম পরিবর্তন হলেও এ অভিযান বন্ধ হবে না। বরং যে কোনো অপরাধ কার্যক্রম ঠেকাতে ও অপরাধীদের ধরতে এ অভিযান আরও জোরালো হবে বলে জানা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে।
‘ডেভিল হান্ট’ নামটির বিষয়ে খোদ প্রধান উপদেষ্টা আপত্তি জানিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এ কারণে নাম বদলানোর বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, নাম পরিবর্তন করা হলেও চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বা অন্যান্য প্রয়োজনে আরও একাধিক অভিযান পরিচালনা করবে।
অপারেশন ডেভিল হান্টের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, কোর কমিটিতে আমরা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। নিয়মিত এ মিটিংটা হয় কাজকর্মের অগ্রগতি দেখার জন্য। কোথায় আমাদের ফোকাস বাড়ানো দরকার, কোথায় ফোকাস বাড়ানোর দরকার নাই, কোন কোন জায়গায় আমাদের যৌথ টহলের দরকার নেই- সেগুলো আলাপ-আলোচনা করেছি। আরও অধিক ফোকাসড ওয়েতে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ করছিলাম। সেটা প্রতি মাসেই পরীক্ষা করা হয় যে, ফলাফল কী হচ্ছে! কোথাও নিষ্ফল প্যাট্রোলিং হচ্ছে কি না, দরকার আছে কি না এসব দেখা হয়। যখন দেখা যায় সমস্যা নেই, তখন আমরা সেখান থেকে সরে আসছি। অন্য যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে কাজ করছি। এখন ঢাকা শহরের দিকে নজর দিচ্ছি। ছোট ছোট যেগুলো ঘটছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে এই রমজানে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে পারে বিধায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র জানায়, একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে রমজান মাসে অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা। এরপর থেকে মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তর আরও জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদার করতে উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান একাধিক কর্মকর্তা।