• সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

আদমদীঘিতে হিমাগারের স্লিপ সংকটে আলু নিয়ে বিপাকে চাষিরা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ- বগুড়ার আদমদীঘিতে চলতি মৌসুমে আলু চাষিরা চাষ করা আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এবার হিমাগারে আলু সংরক্ষণ নিয়ে এলাকার কৃষকরা মহা বিপাকে পরেছে । ক্ষেত থেকে পুরোদমে আলু তোলা শুরু হলেও হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় স্লিপ বরাদ্দ পাচ্ছেন না আলু চাষীরা। আগামী বছর আলু চাষের জন্যে মৌসুমের সদ্য তোলা বীজ আলু সংরক্ষণ করতে চাইলেও মজুদদার ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের কারনে প্রকৃত কৃষকরা স্লিপ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে এলাকার কৃষক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ফলে কৃষকদের অধিক খরচে চাষ করা আলু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পরছেন।

আদমদীঘি উপজেলায় ২২ হাজার মে.টন ধারন ক্ষমতা সম্পূর্ণ হিমাগারে স্থানীয় কৃষকের আগে অন্য এলাকার ব্যবসায়ী ও কৃষকদের হাতে স্লিপ চলে যায় মাঠ থেকে আলু তোলার আগে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা এই হেমাগারের স্লিপ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও এ অঞ্চলের আলু চাষীরা পার্শ্ববতী দুপচাঁচিয়া উপজেলা ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য স্লিপের জন্য ধরনা দিয়ে ও সংগ্রহ করতে না পেরে বেজার হয়ে বাড়ি ফিরছে আলু চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টরের বেশি জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। উপজেলা কৃষি স্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মে.টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্ত এবার উৎপাদিত আলুর বেশির ভাগই হিমাগারে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অদিক খরচে চাষ করা উৎপাদনকৃত আলু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে একদিকে বাজারে আলুর দাম কমছে, অন্যদিকে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লোকসান গুনতে হচ্ছে ।

সান্তাহার মেসার্স বিএইচ পেশালাইডস কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখতে না পেরে উপজেলা সদরের আলু চাষী হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হিমাগার মালিকরা আগে ভাগেই মজুদদার ও ব্যবসায়ীদের কাছে স্লিপ বিক্রি করে শেষ করেছে। যার ফলে এখন প্রকৃত কৃষকদের আর স্লিপ দিতে পারছেন না।
মেসার্স বিএইচ পেশালাইডস কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার জাফরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, হিমাগারের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের এবং মজুদদারদের জন্য ৩৫ শতাংশ এবং বাকি ৬৫ শতাংশ আলু চাষিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। কিন্ত সেটাও বর্তমানে নাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, ‘আলু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকরা ভবিষ্যতে আলু আবাদ কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে বীজ আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে পরবর্তী মৌসুমে আলুর উৎপাদনও কমে যেতে পারে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, ‘যদি কোনো হিমাগার কর্তৃপক্ষ স্লিপ বিতরণে অনিয়ম করে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ