বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খুব একটা ভালো অবস্থা নেই ব্রাজিল। তাই প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ সেলেসাওদের কাছে। চলতি বছরের প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়া বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। যেখানে দুর্দান্ত একটি জয় পেয়েছে তারা। শেষ মিনিটে গোল করে ড্র হতে ম্যাচকে জয়ে রূপান্তর করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলে বড় লাফ দিয়েছে ব্রাজিল।
শনিবার (২১ মার্চ) সকালে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে দরিভাল জুনিয়রের দল। রাফিনিয়া শুরুতে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা ফেরান কলম্বিয়ার লুইস দিয়াস। ৯৯ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন ভিনিসিয়ুস।
এদিন ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ভিনিউসিয়ুসকে কলম্বিয়ার দানিয়েল মুনিয়োস ডি বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। আট মিনিট পর রদ্রিগোর আড়াআড়ি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের কাছ দিয়ে।
চোট পেয়ে ২৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন জেহসন। তার জায়গয় নামেন জোয়েলিন্তন। ৪০তম মিনিটে মার্কিনিয়োসের কাছ থেকে নিজেদের ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে শট নিতে দেরি করেন এই মিডফিল্ডার। কলম্বিয়ার একজনের চ্যালেঞ্জের মুখে বল হারান তিনি। হামেস রদ্রিগেসের পা ঘুরে বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন দিয়াস। এতে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুযোগ পান ভিনিসিয়ুস। ৪৭তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের আড়াআড়ি শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন কামিলো ভার্গাস। ছয় মিনিট পর ডাবল সেভে সমতা ধরে রাখেন কলম্বিয়া গোলরক্ষক। রাফিনিয়ার পর ভিনিসিয়ুসের শটও ঠেকিয়ে দেন ভার্গাস।
৬৩তম মিনিটে রদ্রিগেসের ফ্রি কিকে দাভিনসন সানচেসের শট বেশ উপরে উঠে গেলে ফিস্ট করেন আলিসন বেকার। সেটাতে খুব একটা জোর না থাকায় যায়নি বেশিদূর, স্বাগতিকদের একজনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তবে ফিস্ট করার সময় হেফারসন লের্মা ব্রাজিল গোলরক্ষককে ফাউল করায় মেলেনি গোল।
৭১তম মিনিটে মাথায় সংঘর্ষে চোট পান আলিসন ও সানচেস। কিছুটা সময় শুয়ে থাকেন দুইজনই। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার। চালিয়ে যেতে পারেননি আলিসনও, হেঁটে মাঠ ছাড়া ব্রাজিল গোলরক্ষকের জায়গায় নামেন বেন্তো।
যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে দূরের পোস্টে হেড করতে গিয়ে পোস্টে লেগে চোট পান ব্রাজিল ডিফেন্ডার গিয়ের্মে আরানা। হেডও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। এর কয়েক সেকেন্ড পর দূরপাল্লার আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন ভিনিসিয়ুস। ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি গোলরক্ষক।
এই গোলে পয়েন্ট টেবিলে বড় একটা লাফ দিল ব্রাজিল। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এলো দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেল কলম্বিয়া। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে উরুগুয়ে।