• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপির জনসভায় জনসমাগমের ব্যাপক প্রস্তুতি

আপডেটঃ : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রোববারের জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠেয় এ জনসভা করতে দলটি সরকারের দিক থেকে মৌখিক অনুমতি পেয়েছে। এরপর বিএনপি নেতারা এ জনসভায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠকসহ নানা কর্মকাণ্ড করছে।

শান্তিপূর্ণভাবে এ জনসভা করতে সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক আচরণ প্রত্যাশা করছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, এ জনসভার অনুমতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দয়ার বিষয় নয়, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকালেও এ জনসভা সফল করতে সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেছেন। এছাড়া রাজধানীর আশপাশের জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন এসব সিনিয়র নেতা। দলটির নেতারা জানান, ২০১৬ সালের ১ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বশেষ বক্তব্য রেখেছিলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও সরকার তা দেয়নি। রোববারের জনসভার মাধ্যমে দলটির নেতারা দেখাতে চান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের দাবির পক্ষে জোরালো জনমত সৃষ্টি করাও এ জনসভার উদ্দেশ্য।

এদিকে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন মির্জা আব্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাছিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানসহ যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। মঞ্চ নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান ও একটি নকশা নিয়ে মঞ্চ নির্মাতার সঙ্গে আলাপ করেন মির্জা আব্বাস।

সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা করতে আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করি। তারা যেন কোনো রকমের উস্কানিমূলক কার্যক্রম না করেন। আমরা সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক আচরণ আশা করব। একইসঙ্গে আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা চাইব। যাতে জনগণের মত আমরা নিঃসংকোচে প্রকাশ করতে পারি।

বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া এ বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন আব্বাস। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, বিএনপি কখনও উচ্ছৃঙ্খল দল নয়, অন্তুত আওয়ামী লীগের মতো না। একটা সুশঙ্খল দল বিএনপি। আমরা বিশৃঙ্খলা পছন্দ করি না। উনি (ওবায়দুল কাদের) মনে হয়, উস্কানিমূলক ইঙ্গিত দিয়েছেন। উনাদের মনের ভেতরে কী আছে, তা প্রকাশ করে দিলেন। উনার কথাটা ইঙ্গিতময় মনে হল। সরকার কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করেন মির্জা আব্বাস।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র চর্চা করে বলেই বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার সকালে রাজধানীর নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জবাব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ, জনসভা করা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, সরকারের দান নয়। গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ। জনসভা করা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার, আওয়ামী লীগের দেয়া দয়া নয়। সব রাজনৈতিক দলেরই জনসভা করার অধিকার রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ