• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

সরকারের নির্ভরতা ‌‘জালিয়াতির মেশিন’ ইভিএমে: রিজভী

আপডেটঃ : বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করে ‘জালিয়াতির মেশিন’ ইভিএমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ভোটারবিহীন কারচুপির নির্বাচন এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই সরকার দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ সব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, হরিলুটের সরকার আওয়ামী জোট সরকার। ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক-মহাসড়ক, উড়াল সেতুর নির্মাণে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধি করে জনগণের টাকা লোপাট করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা। সরকার দলীয় লোকদের আঙুল ফুলে কলাগাছ বানাতে রাষ্ট্রীয় অর্থভাণ্ডার ডাকাতির সুযোগ করে দিয়েছে।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ জনসমাজের নানা স্তরের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন আগামী নির্বাচনে ব্যবহার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সেই আপত্তিতে সাড়া দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এটা ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছিলেন। অথচ মঙ্গলবার একনেকে দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। জালিয়াতির মেশিন ইভিএম এর ওপর নির্ভরশীল হয়েছে। এছাড়া সরকারের আর উপায় নেই।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচন দরকার, কিন্তু ভোট দরকার নেই। সরকারের গণতন্ত্রের মুখোশ দরকার, কিন্তু বিরোধী দলের দরকার নেই। সরকারের গণমাধ্যম দরকার, কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দরকার নেই। পুনরায় ক্ষমতা লাভের কাড়াকাড়িতে ব্যস্ত সরকারের কাছে ইভিএম কেনা অত্যন্ত জরুরি এজন্য যে, এই মেশিন ভোট গ্রহণের দিন ব্যবহার হলে ভোটারদের প্রয়োজন হবে না। ইভিএম নিয়ে বিশ্বময় অশান্তি ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। সম্প্রতি ইভিএম এ কারচুপি’র জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ভোটই বাতিল হয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যই হলো- আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন পাকাপাকিভাবে কারচুপির বন্দোবস্ত করা এবং লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া। একনেকে অনুমোদন হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে সরকারের দু’জন কর্মকর্তা ইভিএম কিনতে বিদেশ গেছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গ্রেফতার হওয়ার পর দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের কাছে মঙ্গলবার রাতে তার প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র নিতে দেয়া হয়নি। হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হলে কয়েকজন আইনজীবীসহ নেতা-কর্মীরা তাকে সেখানে দেখতে যায়। সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজন আইনজীবীসহ বেশকিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকার ও তার আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা হিংস্র, অমানবিক ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হতে পারে যে, রাতে সোহলের ওষুধ পর্যন্ত ভেতরে নিতে দেয়া হয়নি।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর কাফরুল থানা যুব দলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম লিটনকে সাদা পোশাকে সদস্যরা তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে জনসমক্ষে হাজির করার দাবি জানান রিজভী। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর, নরসিংদী, পিরোজপুর, রাজশাহীসহ সারাদেশে ৯৩ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ