• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বসে ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বসে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বিশ্বস্ত সূত্রগুলো থেকে খবর পাচ্ছি, পুলিশকে দিয়ে নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য নীলনকশা তৈরি করা হচ্ছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা গতবার পরিকল্পনা করেছেন, তিনি এবারও পুলিশ সদর দফতরে বসে আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য নীলনকশা করছেন। যে পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ হেড কোয়াটারে বসে নীল নকশা তৈরি করছেন, তাকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ক্লোজড অথবা বদলি করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা প্রত্যেক জেলা থেকে যে পুলিশ কর্মকর্তার পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা করারও দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোয় পুলিশ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাঝখানে বিরতি নিয়ে এসে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য যাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত কোনোটাই করছেন না। আমরা লিখিতভাবে এর প্রতিবাদ করেছি। নির্বাচন কমিশন যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করে, পুলিশের এই গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে নির্বাচন কখনোই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আশা করবো, নির্বাচন কমিশনের যে সাংবাধানিক দায়িত্ব রয়েছে, তা পালন করবে।

বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনকে এখনই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তার কোনও দায়িত্ব পালন করছে না। পুলিশ একইভাবে তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের বের করা হচ্ছে না। তাদের জামিনকে বিলম্বিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার

সাংবাদিক এক প্রশ্নের জাবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের আগে যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, তা এবার হচ্ছে না। তবে অস্ত্র উদ্ধারের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিজেই একটা অবস্থান নিয়ে নিয়েছে যে, তারা নির্বাচন সুষ্ঠু করবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ