বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে তাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় তাদের সাথে আরো অভিযুক্ত ছিলেন একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, রাগীব রউফ চৌধুরী, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন, মো: মাকসুদ উল্লাহ।
আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘আইনগতভাবে এ মামলা চলতে পারে না। এই মামলায় তারেক রহমানের অপরাধ ছিল, ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে তিনি লন্ডনে একটি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্য একুশে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। বক্তব্য দেয়ার জন্য উনাকে মামলার আসামি করা হয়। এই মামলা আজ দু’পক্ষে শুনানি করে বাতিল করা হয়েছে। এ মামলার সহ-আসামি তারেক রহমান এই বেনিফিট পাচ্ছেন। কারণ মামলাই চলতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো একটি মামলায় লিগ্যাল এভিডেন্স নেই। যে কারেণে আমরা বারবার বলছি, আইনগতভাবে উনার মামলা মোকাবেলা করব।
২০১৭ সালে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করলে পর দিন তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক রহমান ও আব্দুস সালামের সাথে মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ারকেও আসামি করা হয়।