ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আঙুলে চোট পাওয়া ওপেনার সৌম্য সরকার এখনো সেরে উঠতে পারেননি। বিপিএলের কোন ধাপে তিনি মাঠে নামতে পারবেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরীর ধারণা আরও দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যেতে পারে এই বাঁহাতি ব্যাটারের।
গত ১৮ ডিসেম্বর সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চোট পান সৌম্য। স্লিপে ক্যাচ নিতে গিয়ে ডান হাতের তর্জনী আঙুল কেটে যায় তার, তখন দেওয়া হয় পাঁচ সেলাই। পরে জানা যায় হাড়ের জয়েন্টও নড়ে গেছে।
এই চোটে তিন থেকে চার সপ্তাহ ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি, বিপিএলের প্রথম অংশে তার খেলা সম্ভাবনা মিইয়ে গিয়েছিলো তখনই। তবে বিপিএলের বাকি অংশে এই ওপেনার খেলায় ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।
মঙ্গলবার তিন সপ্তাহ পর সৌম্যের আঙুলে সেলাই কাটা হয়। তবে সেলাই কাটলেও মাঠে নামার অবস্থায় আসেননি তিনি, তার নড়ে যাওয়া হাড় এখনো পোক্ত হওয়া বাকি। ডা. দেবাশীষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন এই চোটের বিস্তারিত, ‘সৌম্যের তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে। তো সেলাই-টেলাই কাটা হয়েছে সব। ওর সমস্যাটা তো শুধু কেটে যাওয়া না। সমস্যা হচ্ছে ওর আঙুলে জয়েন্ট ডিজলোকেশন ছিলো। ডিজলোকেশন সারতে সময় লাগবে।
বিপিএলে এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলার কথা সৌম্যের। টেবিলের শীর্ষ দল রংপুর এরমধ্যে খেলে ফেলেছে পাঁচ ম্যাচ। লিগ পর্বে আরও ৭ ম্যাচ আছে তাদের, এখনই তাই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে চান না দেবাশীষ, ‘প্রথমে তো বলা হয়েছিলো চার থেকে ছয় সপ্তাহ, ওরকম সময়ই লাগবে আসলে। বিপিএল তো আরও অনেক বাকি আছে। অলরেডি তিন সপ্তাহ চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সব মিলিয়ে। আমার ধারণা কমপক্ষে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবেই পরিস্থিতি বুঝতে।
এখন তো আসলে বলা যাচ্ছে না। আরও এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে।
এই চিকিৎসকের মতে সৌম্যের মাঠে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে, তবে তার ধারণা সব মিলিয়ে আরও দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যেতে পারে, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (অনিশ্চয়তা) আছেই। সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। ওদিকে তিন সপ্তাহ গেছে, আরও দুই-তিন সপ্তাহর মতন সময় লেগে যাবে। একটু এদিক-সেদিক হতে পারে।’
মাঠে ফিরতে তিন সপ্তাহ লাগলে লিগ পর্বে একটাই ম্যাচ পাবেন সৌম্য। তার দল প্লে অফে উঠতে পারলে (তারা অনেকটাই এগিয়ে) পাবেন আরও সুযোগ। তবে চোট সারার পর স্কিল অনুশীলন করে খেলার জন্য প্রস্তুতির বিষয় আছে। সেদিক থেকে সৌম্যর এবারের বিপিএল খেলা বেশ অনিশ্চয়তায়।
বিপিএলের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে দলেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সৌম্য। পুরো ফিট হয়ে তার লক্ষ্য হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা।