ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার ধামরাইয়ে গত চারদিনে দুই অটোরিকশা চালককে গলা কেটে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আজ আবারও সমিজ উদ্দিন (৫৫) নামে এক মটরসাইকেল চালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃওরা। ধামরাইয়ে মরদেহর মিছিলে পরিনিত হয়েছে। এঘটনায় ধামরাইয়ের সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। হত্যা কারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে না পারায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বড় চন্দ্রাইল কবরস্থানের পাশে এলাকাবাসি মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয় পরে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, গতকাল রাতে ধামরাইর বড়চন্দ্রাইল এলাকার কসিম উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে মটরসাইকেল চালক সমিজ উদ্দিন (৫৫) নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও শ^াসরোধ করে হত্যা করে দুর্বৃওরা। পরে সকালে একটি কবরস্থানের পাশে তার ক্ষত বিক্ষত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়াও গত ৪ দিনে দুই অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে দর্বৃত্তরা। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে উপজেলা অটোরিকশা চালকদের মাঝে আতন্ক বিরাজ করছে। পুলিশের এমন ব্যাথতার কারনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। তবে পুলিশ বলছে খুবদ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করা হবে।
গত শনিবার ভোররাতে ঢাকা আরিচা-মহাসড়কের ধামরাইয়ে ছোট কালামপুর এলাকায় ব্রীজের নিচ থেকে বকুল মিয়া নামের (৩০) এক অটোরিকশা চালককের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন এবং ওই এলাকায় ভাড়ায় রিকশা চালাতেন। কালামপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে যাত্রীবেসে রিকশা ভাড়া নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মধ্যে ব্রীজের নিচে তার হাত-পা বেধে পিটিয়ে ও শ^াসরুদ্ধ করে হত্যা করে দর্বৃত্তরা। এসময় অটোরিকশাটি ছিনতাই করে তারা। নিহত বকুল মিয়ার গ্রামের বাড়ি নিলফামারি জেলার ডোমরা থানার গাওতারা হাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত গফুর উদ্দিনের ছেলে।
অপর দিকে দুইদিন পূর্বে উপজেলা লাড়–য়াকুন্ড এলাকায় একই কায়দায় আজিম উদ্দিনকে (৩৬) গলাকেটে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনতাই করে দর্বৃত্তরা। নিহতের গ্রামের বাড়ি নিলফামারি জেলার ডোমার থানার মৌজাপাঙ্গা গ্রামের মফিজর উদ্দিনের ছেলে।
পর পর গত ৪ দিনের দুই অটোরিকশা চালকের নির্মম হত্যাকান্ডের পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে উপজেলা অটোরিকশা চালকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। এছাড়াও ১০ দিন পূর্বে শ্রীরামপুর ডালপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় দুই নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে দর্বৃত্তরা। ওই খুনের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার ও চিহ্নত করতে পারেনি পুলিশ।
এবিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রিজাউল হক বলেন,মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করার জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। চার দিনের হত্যার পর হত্যার ঘটনার খুনিদের চিহ্নত করে খুবদ্রুত গ্রেফতার করা হবে।