টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-১, (মধুপুর ধনবাড়ী) আসনে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা সংসদীয় এলাকায় মাঠে নেমে নিয়মিত সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছে। আসনটি আওয়ামীলীগের জন্য প্রায় নির্ধারিত। প্রতিটি নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান প্রায় লাখের কাছাকাছি থাকে। আসনটিতে স্বাধীনতা পূর্ব ভোটে আওয়ামীলীগের ২/১ কেন্দ্রে ১ ডিজিট সংখ্যক ভোট পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এখন তার বিপরীত। স্বাধীনতা উত্তর ভোট বৃদ্ধির মূল কারিগর সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার, তাঁর নিজস্ব কারিশমা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং উন্নয়ন- এগুলো আওয়ামীলীগ দ্বারা সৃষ্টি এবং সম্ভব, এটা জনগনকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সু-যোগ্য উত্তর সূরী- বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতেই মুক্তিযুদ্ধের, স্বাধীনতার এবং উন্নয়নের স্পর্শ টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) অঞ্চলের জনগণের দোড়গোড়ায় আজ আকাশের চাঁদের মত ঝলঝল করছে। বর্তমান সাংসদ তার আত্মীয় করণ ও স্বজনপ্রীতি, পূণরায় মন্ত্রীত্ব না পাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে তার দিক থেকে জনগণ মুখ ফিড়িয়ে নিচ্ছে এবং পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জনগণ নতুন মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন। বর্তমান সাংসদ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আত্মীয়করণে সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তার এক নিকটাত্মীয় জেলায় ঠিকাদারী কাজে সর্বোচ্চ করদাতা। ত্যাগী নেতাদের বিতারিত করে আত্মীয়দের রাজত্ব কায়েমে নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। আত্মীয়দের সর্বত্র খবরদারী ও জুলুমবাজীর কারণে এলাকায় তার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এখন তলানীতে এসে ঠেকেছে। তারপরও বিশেষ করে ধরবাড়ী অঞ্চলে তার একজন আত্মীয়র কারণে কোন সম্মেলন ছাড়াই নির্বাচিত ব্যক্তিদ্বারা উপজেলা কমিটি করে রেখেছেন। কমিটিতে কিছু অভিজ্ঞ নেতা ছাড়া বাদবাকী সবাই সেই আত্মীয়র নির্বাচিত। তাঁর বিরুদ্ধে এবং সাংসদের বিরুদ্ধে কারও টু-শব্দ করার জো-নেই। তারপরও তার মন্ত্রীত্ব কেন থাকলো না, এটা জনগণের প্রশ্ন। জনগন এখন এ আসনে মূল নেতৃত্বে পরিবর্তন চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনের গণ মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই জনগন এ আসনে পরিবর্তনের প্রত্যাশায় নতুন মুখ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবি করছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জননেত্রীর প্রতি আস্থা, বিশ^াস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার স্বাদ এবং তার সুফল ও উন্নয়ন এই সব মিলিয়ে আওয়ামীলীগের জন্য এই আসনটি উর্বর।
আওয়ামীলীগের তৃনমূল সূত্র থেকে জানা যায়, সকল সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনিই এগিয়ে রয়েছেন এমনটাই জরিপে পাওয়া গেছে। জননন্দিত এই নেতার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার হারিনাতেলী গ্রামে ১৯৬৭ সালে এক মধ্যবৃত্ত কৃষক পরিবারে, তার পিতার নাম মৃত মজিবর রহমান, তিনি বিবাহিত এবং ৩ কন্যা সন্তানের জনক। তারা অধ্যয়নরত। মিজানুর রহমানের ছাত্র জীবনের পুরোটা জুড়ে ছিল আওয়ামী ছাত্রলীগ রাজনীতির চর্চা। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যানরত অবস্থায় এসএম হল শাখার জাতীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার, ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে অঙ্গিকার বদ্ধ হয়ে লড়ে যাচ্ছেন। সর্বপরি তার গ্রাম থেকে শুরু করে তার নির্বাচনী এলাকার সর্বোচ্চ সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বরাবরই অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী এ নেতা উন্নয়নের রূপকার জননেত্রী দেশরতœ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক হাতকে শক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মাটি ও মানুষের প্রিয় এ নেতার পক্ষে মধুপুর ধনবাড়ীর সর্বত্র অবিরাম চলছে প্রচারণা, তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হচ্ছে। এবং তাকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সেবা সহ এলাকার সর্বত্র তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যালয়ে আর্থিক সহায়তাসহ জনকল্যাণ মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সমাজ ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তির পরিচয়ের প্রাধান্য না দিয়ে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষের প্রতি তিনি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। কোন লোভ লালসা তাকে কখনো সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করতে পারে নি। মধুপুর ধনবাড়ীর অনেক শিক্ষিত ছেলে মেয়ে তার প্রতিষ্ঠিত শিল্পকারখানায় কর্মরত। শিক্ষা বিস্তার এবং মানুষের আপদে বিপদে এগিয়ে আসা এবং সাধারণ মানুষের মঙ্গলে যে কোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় অগ্রনী সেনানী হিসেবে।
তার সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির-প্রশ্ন ছিল আপনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-সকল বৈষম্য দূর করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম এবং তাঁর ডাকে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে নয় মাস যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী একজন মানুষ হিসেবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সাথে থাকার মানুসিকতা নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করার সুবিধার জন্য আওয়ামীলীগের মতো জনবান্ধব, উন্নয়ন বান্ধব একটি দলের মনোনয়ন চাইবো এটাই স্বাভাবিক, যা আমি নিজে অন্তরে লালন করি। প্রশ্নছিল রাজনীতিতে আপনার অবস্থান কি? তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ^াসী একজন কর্মী হিসেবে জনকল্যাণে সাধারণ মানুষের সাথে মিলে কাজ করার মানুসিকতা লালন করি। কি উদ্দেশ্যে আপনি এমপি হতে চান? জবাবে তিনি বলেন নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এলাকা বাসীর স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে স্বচেষ্টা রাখার চেষ্টা করেছি এবং করছি। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির জীবন মান সহ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। তা ছাড়াও গণমানুষের সুখ দুঃখের কথা বলার সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় সংসদ। সংসদে জনগণের কথা তুলে ধরার জন্য জণগণের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। এ জন্য মাটি ও মানুষের গন্ধ বুঝা জননেত্রী শেখ হাসিনা মধুপুর ধনবাড়ীতে নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রত্যাশি সাধারণ মানুষের মনের সুপ্ত চাহিদা বুঝেই আমাকে মনোনয়ন দিয়ে এলাকার উন্নয়ন সহযোগি এবং সাধারণ মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন বলে বিশ^াস করি। মধুপুর ধনবাড়ীর সর্বস্তরের প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। তাদের ভালোবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো ইন্শাআল্লাহ। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান সহ মধুপুর ধনবাড়ীর বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক তৃণমূল নেতা কর্মী মোঃ মিজানুর রহমানের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর- ধনবাড়ী) আসনটির বর্তমান সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের অনেক জনপ্রতিনিধিসহ ভোটাররা মো: মিজানুর রহমানের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কোমান্ড বরাবরে দাবি জানিয়েছেন।