আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল ২০১৮ রবি ও সোমবার তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮’। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের বিপিও খাতে সবচেয়ে বড় এ আয়োজন। বিপিও সামিট ২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিপিও সামিট ২০১৮ কে সফল করতে গত ২১ মার্চ ২০১৮ বুধবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সেমিনার হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের (অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের পক্ষে (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মালিহা নার্গিস, সিস্টেমস ম্যানেজার (যুগ্মসচিব) মো. মহসিনুল আলম, পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, উপসচিব ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, উপসচিব ও উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সহকারী প্রোগ্রামার নূরে আলম সিদ্দীকী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন ও বিপিও সামিট ২০১৮ এর প্রজেক্ট সমন্বয়ক শারমিন কবির প্রমুখ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ইচ্ছা শক্তিকে সঙ্গে রেখে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে বিপিও সামিট। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের সফল আয়োজনের ধারাবাহিকতায় আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি আরও বিস্তৃত উদ্দেশ্য এবং সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যেই বিপিও সামিট ২০১৮ আয়োজন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে বিপিও খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিপিও খাতে তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীদের কাজ করা সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো বিপিও সেক্টর। বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮ আয়োজনের মাধ্যমে নতুনদের কাছে এ সেক্টরকে তুলে ধরতে হবে।
দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। প্রযুক্তি ব্যবসা বিশেষ করে আউটসোর্সিং ব্যবসা পরিচালনা, ব্যবসার উন্নয়ন ও বিনিয়োগের আদর্শ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব-দরবারে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোসিং খাতকে আরও কিভাবে ভালো করা যায় সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হবে। এবং সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে বিপিও খাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হবে। বিপিও খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরিও এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য।