দেশের ১০টি পৌরসভার সব সেবা অনলাইনে প্রদানের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সোমবার কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন’প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ১০টি পৌরসভায় “ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট” নামে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের ১০টি পৌরসভার নাগরিকরা পৌরসভার চারটি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই মোবাইল অ্যাপস দ্বারা সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রকল্পের আওতায় অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স ও ওয়াটার বিলিং সার্ভিসেস, অনলাইন কাউন্সিলর সার্টিফিকেট সার্ভিসেস, অটোমেটেড প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এবং ই-ট্রেড লাইন্সেস সার্ভিসেস প্রদান করা হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফা জব্বার, মন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আরো উপস্থিত ছিলেন ড. জাফর আহমেদ খান, সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ; জনাব সুবীর কিশোর চৌধুরী, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ; জনাব পার্থপ্রতিম দেব, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল; জনাব জো হেন-জু , কান্ট্রি ডিরেক্টর, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) বাংলাদেশ অফিস; এটুআই প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন” প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনির হোসেন।
শুরুতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে-গোপালগঞ্জ পৌরসভা,পীরগঞ্জ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, ময়মনসিংহ পৌরসভা, ফরিদপুর পৌরসভা, ঝিনাইদহ পৌরসভা, সিংড়া পৌরসভা, রামগতি পৌরসভা, নাটোর পৌরসভা এবং তারাবো পৌরসভায়।‘ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট’ নামের এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তিনটি বিভাগ কাজ করছে। এগুলো হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এটুআই।
এ সেবা চালু প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জনগণের দোড়গোড়ায় ডিজিটাল সেবাসমুহু পৌঁছে দেয়ার যে উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করছি ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট তারই একটি প্রতিফলন। প্রাথমিকভাবে ১০টি পৌরসভায় শুরু করছি যা ভবিষ্যতে সারা দেশের সব পৌরসভায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।