• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে রোহিঙ্গাদের আড়াই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় আড়াই হাজার ঘরবাড়ি, দুই শতাধিক স্কুল-মাদ্রাসা মসজিদ ওয়াস রুম, সৌর বিদ্যুতের সোলারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প মাঝিরা। রবিবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে এসব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝি নুরুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প লেদা, আলিখালী, শালবাগান, জাদিমুড়া, রেজিস্ট্রার ক্যাম্প, চাকমারকুল ও উনচিপ্রাং সহ প্রায় ১২ শতাধিক উপরের রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িসহ শতাধিক স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদ বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সিআইসি অফিসের পক্ষ থেকে এবং এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য তালিকা নিয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা এখানে হয়নি।

উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্প মাঝি মো. সেলিম বলেন, কুতুপালং, বালুখালী ও শফিউল্লাহ কাটাসহ রোহিঙ্গাদের প্রায় এক হাজারে অধিক ঘরবাড়িসহ স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদ ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে ক্যাম্পের সেল্টারে আমাদের লাগানো শাকসবজি সৌর বিদ্যুৎ নষ্ট হয়ে যায়।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাসান বারী নুর বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের আমরা আগে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করেছি। তবে ক্যাম্পে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।আমাদের সদস্যরা সব সময় তৎপর ছিল।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে উখিয়া-টেকনাফে আড়াই হাজারের অধিক রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িসহ শতাধিক স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারের এবং এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের ঘর মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ