‘আমি মরে যাব আজকে, আপনারা আমার দুইটা বাচ্চাকে দেইখ্যা রাইখেন। আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী, আমার জন্মই খারাপ। দাদা তুই আমাকে মাফ করে দিস, মাকে দেখে রাখিস’ —ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর জেলার মধুখালীর সীমান্তবর্তী গাজনা ইউনিয়নের লাউজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজবাড়ী রেল পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম তিথি রানী বিশ্বাস (৩০)। তার বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাশতলা নটাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের নিশিত রঞ্জন বিশ্বাসের মেয়ে এবং প্রভাষ রায়ের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাউজানা গ্রামের রেলপথ ধরে এক নারী মোবাইল ফোনে কথা বলে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন রাজবাড়ী থেকে আসা ভাটিয়াপাড়াগামী একটি লোকাল ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে তাদের জিম্মায় নেয়।
এসআই বিধান চন্দ্র মল্লিক জানান, পার্শ্ববর্তী জেলা রাজবাড়ী থেকে বালিয়াকান্দি-মধুখালীর রেলপথে গাজনা এলাকায় এসে তিনি আত্মহত্যা করেন। লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। যেটি নিহত গৃহবধূ ব্যবহার করতেন। জানা গেছে, তিথি রানির সঙ্গে তার স্বামীর ঝামেলা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে তিনি এমন কাজ করতে পারেন।