• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

পায়রা-বাঁশখালী বন্ধ, আশার আলো রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

কয়লা সংকটে ৫ জুন পটুয়াখালীর পায়রা ও ৯ জুন চট্টগ্রামের বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। এমন দুঃসংবাদের মধ্যেও আশার আলো বাগেরহাটের মোংলা বন্দর ও সুন্দরবনের সন্নিকটে অবস্থিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসা চায়না পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জে হ্যায় শনিবার (১০ জুন) ভোরে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে জাহাজটি বন্দরের ফেয়ারওয়েবয়া এলাকায় পৌঁছায়। এরপর শনিবার ভোরে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার-১১নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়ে কয়লাবাহী এ জাহাজটি। সকাল থেকেই কয়লা খালাস ও পরিবহনের কাজ শুরু হয়েছে।

বিদেশি জাহাজ জে হ্যায়ের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৬ হাজার ৬২০ টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে চায়না পতাকাবাহী জাহাজ এমভি জে হ্যায় ২১ মে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোরে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে।

রিয়াজুল আরও বলেন, এসব কয়লা লাইটারেজে নেওয়া হচ্ছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে। এরপর কয়লাগুলো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রটির সেডে/গোডাউনে।

jagonews24

এর আগে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার টন ও ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে সাড়ে ৩০ হাজার টন কয়লা এসেছিল মোংলা বন্দরে।

রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজিএম মো. আনোয়ারুল আজিম  বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ২০ হাজার টন কয়লা মজুত আছে। এতে চলতি মাস স্বাভাবিকভাবেই চলে যাবে। এরমধ্যে শনিবার মোংলা বন্দরে এমভি জে হ্যায় জাহাজে ২৬ হাজার ৬২০ টন কয়লা এসেছে। একই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮০ টন কয়লা, যা চট্টগ্রাম থেকে লাইটারেজে রামপালে আনা হচ্ছে।

আনোয়ারুল আরও বলেন, আগের এলসির কয়লা ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকবে। এরমধ্যে নতুন করে এলসি খোলার প্রক্রিয়াও চলমান। এতে কয়লা সংকটের কোনো সমস্যা হবে না এ বিদ্যুৎকেন্দ্রেটিতে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন এখান থেকে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টন। উৎপাদিত বিদ্যুৎ চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ