ছবি: সংগৃহীত
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রায় ১২০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি ও আয়কর সংক্রান্ত ১৩ মামলা শুনানি জন্য আগামী ৩০ জুলাই এবং ১৬ ও ২০ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে উপস্থিত থেকে দ্রুত করার আবেদন করেন। পরে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থবছরে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ দাবি চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক পাঁচটি রিট এবং আটটি ইনকাম ট্র্যাক্স রেফারেন্স মামলা করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ মামলাগুলো করা হয়।
চলতি বছরের ৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব মামলার শুনানি নিতে অপারগতা প্রকাশ করে মামলাগুলো কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। তখন রাষ্ট্রপক্ষ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো.ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে নিয়ে যায়। সোমবার এ বেঞ্চও মামলাগুলো শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের কারণে অনেক রাজস্ব আটকে আছে, এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে আয়কর ও শুল্ক সংক্রান্ত মামলাগুলোর ওপর হাইকোর্ট বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ১২০০ কোটি টাকার উপরে আয়কর আটকে আছে। এসব মামলা নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিষ্ঠান দুটির আইনজীবী শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি একসময় এসব মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তাই এই বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি ঠিক হবে কি না। আইনজীবীর এ প্রশ্নে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, শুনানি করতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে প্রশ্ন ওঠায় মামলাগুলো নতুন বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আজ মঙ্গলবার নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি।