বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জানিয়েছেন, মানুষ ভোট দিতে পারলে সর্বোচ্চ ভোটে তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হবেন। ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্ত জানিয়ে শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১২ জুন) সকালে নগরীর রুপাতলী হাউজিং সোসাইটির আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে হাতপাখার প্রার্থী বলেন, ‘ভোট যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ আর গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে যা হয় আমরা সেটাই মেনে নেব। সব কেন্দ্রে আমাদের এজেন্ট আছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আমি আশা করি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয় পাবো।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুটা ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। শুধু কাউনিয়ার একটি কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পরে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। ভোটারদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। ৮টা বাজার আগেই তারা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসে হাজির হয়েছেন।’
ফয়জুল করীম বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলব, ভোটাররা যে বুক ভরা আশা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেবেন এবং কোনো অবস্থাতেই যেন ভোটের রেজাল্ট কারচুপি না করা হয়।’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
এবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। সিটি নির্বাচনে এবার নারী ভোটার এক লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার হাজার ৪০০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৩০০ জন পুলিশ। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।