লক্ষ্মীপুরের উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্টীলব্রিজ সংলগ্ন হোনার বাড়ির অজি উল্যার ছেলে মোহাম্মদ উল্যার বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। সাড়ে তিন বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৫৭ মণ। খামারি এর নাম দিয়েছেন ‘নোয়াখালী কিং’।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে চারদিন বয়সী বাছুরসহ একটি দুধের গরু ক্রয় করেন মোহাম্মদ উল্যা নামে এক গরু খামারি। ওই বাছুরটি এখন বড় আকারের একটি ষাঁড়। যার ওজন প্রায় ৫৭ মণ। আসন্ন কোরবানির ঈদে বড়সড় এ ষাঁড়টি বিক্রি করে দিতে চান মালিক। সেজন্য দাম হাঁকাচ্ছেন ৪০ লাখ টাকা।
খুব যত্নে এবং পরম মমতায় লালনপালন করা ষাঁড়টি বিক্রিতে তার সাঁয় না দিলেও টাকার জন্য বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই আগামী বুধবার (২১ জুন) তিনি ষাঁড়টি ঢাকার গাবতলি হাটে তুলবেন।
ষাঁড়ের মালিক মোহাম্মদ উল্যা জানান, তিনি প্রায় ৬ বছর আগে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। মূলত দুধের গরু পালন করে দুধ বিক্রি করেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গরু কেনেন। তখন গরুর সাথে থাকা বাছুরটি বয়স মাত্র চারদিন। বাছুরটি তিনি লালনপালন করে বড় করেন। বিশালাকৃতির দেহ হওয়য় এটির নাম দিয়েছেন ‘নোয়াখালী কিং’। সেটি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
খামারি মোহাম্মদ উল্যা বলেন, অনেক খামারি কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করে। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরুটি পালন করেছি। এটি ভূষি, খৈল, খড় ভাতের মাড় এবং কাঁচা ঘাস খায়। প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি খাবার লাগে ষাঁড়টির। খুবই যত্ম করে ষাঁড়টি লালনপালন করেছি।
রায়পুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্কমর্তা ডাঃ মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ষাঁড়টির পুরো দেহের পরিমাপ করে দেখা হয়েছে। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বেড় ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি। এর ওজন প্রায় ৫৭ মণ। গড়ে ২৩ শ কেজি মাংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।