ঈদুল আজহায় নাটোরে এবার চাহিদা চেয়ে দ্বিগুণ কুরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। হাট-বাজার ছাড়াও বাড়ি ও খামার থেকেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু-ছাগল।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার নাটেরে ১৮ হাজার ১৫০টি খামার ছাড়াও পারিবারিকভাবে লালন পালন করা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার ২৩৮টি গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এ জেলায় এবার মোট পশুর চাহিদা রয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার দুটি।
সে হিসাবে চাহিদার উদ্বৃত্ত বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে দুই লাখ ৬৯ হাজার ২৩৬টি পশু। নাটোরের বড় হরিশপুর এলাকার মনোয়ারা এগ্রো ফার্মের মালিক ব্যবসায়ী ইমরাত হোসেন খোকন বলেন গোখাদ্য ও শ্রমিকের মজুরি যে হারে বেড়েছে, তাতে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। তার মতে, গরুর দাম সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। তাই তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। চলতি বছরে তার ৫৫টি দেশীয় বড় ষাঁড় গরু বিক্রি হয়ে গেলে তিনি খামার বন্ধ করে দেবেন বলে জানান।
নাটোর সদরের হয়বতপুরের আমিরুল ইসলাম ‘কালা পাহাড়’ নামে একটি বড় ষাঁড় পালন করেছেন। ২০২১ সালের ২৪ জুন গণমাধ্যমে আমিরুল ও তার ষাঁড়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময়ের ৩০ মন ওজনের ষাঁড়টি এখনো বিক্রি হয়নি। এখন ‘কালা পাহাড়’-এর ওজন ৪০ মন। আমিরুল দাম চান ২৫ লাখ টাকা। অথচ এখনো তেমন কোনো গ্রাহকের দেখা মিলেনি কালা পাহাড়ের জন্য।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বড় হাটগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাটে কোনো নগদ লেনদেন না করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।