ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শনিবার দুপুর ১২টায় বনানীর হোটেল শেরাটনে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কনেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জামির, কেন্দ্রীয় কার্যর্নিবাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আরাফাত ও তারানা হালিম।
অন্যদিকে রিকার্ডো চেলারির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলে অংশ নিয়েছেন ছয়জন।
এর আগে সোমবার (১০ জুলাই) ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসায় সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চার নেতা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠকটি চললেও এ বিষয়ে ইইউ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইইউ থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে কিনা সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখতে বাংলাদেশ সফর করছে প্রতিনিধি দলটি। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের পর্যবেক্ষক দলটি ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।
গত ৮ জুলাই প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় আসে। এরই মধ্যে প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
ইইউ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, এ প্রতিনিধি দলের মূল কাজ হবে ইইউর পর্যবেক্ষকদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, তাদের জন্য বাজেট, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, নিরাপত্তা ইত্যাদি মূল্যায়ন করা। এ ছাড়া তারা সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এবং সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ব্রাসেলস ফিরে গিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন দেবেন।
ইইউর প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলটি বাংলাদেশে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ খতিয়ে দেখবে।