ঢাকায় বসে পরিকল্পনা করে কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের পরীক্ষা ও অপারেশনের মূল্যবান যন্ত্রপাতি চুরি করে আরিফুল ইসলাম রাব্বী (৩৫) ও তার সহযোগীরা। গত ১৩ মে দিবাগত রাতে এসব যন্ত্রপাতি চুরি করে চক্রটি।
পরে চুরি করা মালামাল বিক্রির জন্য চক্রের অন্যতম সদস্য এফ এম রেজাউল করিমের দায়িত্বে রাখা হয়।
তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এই চক্রের মূলহোতাসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কিশোরগঞ্জ জেলা।
গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা আরিফুল ইসলাম রাব্বী (৩৫), রবিউল ইসলাম উরফে নবী (৩১) ও এফ এম রেজাউল করিম (৬০)। তাদের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩১ জুলাই) সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ৩০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ মে দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা এলাকার লতিফাবাদে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল থেকে এসব যন্ত্রপাতি চুরি হয়।
এ ঘটনায় গত ১৭ মে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার একটি মামলা (৩৭) দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি পেয়ে কাজ শুরু করে। সিআইডির কিশোরগঞ্জ জেলার টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জুলাই প্রথমে রবিউল ইসলাম উরফে নবীকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরিফুল ইসলাম রাব্বীকে ঢাকার মিরপুর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান চোরাই মালামাল রেজাউল করিমের কাছে রাখা আছে। রেজাউলও আগারগাঁও কমিশনার গলিতে থাকেন। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে চুরি যাওয়া একটি লেজার মেশিন, একটি টি.ভি স্ক্যাটন মেশিন, একটি ওসিটি মেশিন এবং একটি স্লিপ ল্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৬ লাখ টাকা।