• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

পালিয়ে আসা মার্কিন সেনাকে নিয়ে যা জানালো উ. কোরিয়া

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

জাতিগত বৈষম্য ও অমানবিক আচরণের’ শিকার হয়ে গত মাসে উত্তর কোরিয়া ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। এমনটাই দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ।

ট্রাভিস গত ১৮ জুলাই নিজের ইচ্ছায় ও অবৈধভাবে আন্তঃকোরিয়া সীমান্তের বেসামরিকীকরণ অঞ্চল অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক বিবাদে জড়ায় ওয়াশিংটন। এই মার্কিন সেনা কী অবস্থায় আছে এ বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য দেয়নি পিয়ংইয়ং।

উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দাবি করেছে, ট্রাভিস কিং নিজের ইচ্ছাতেই উ. কোরিয়ায় আশ্রয় নিতে চান। সীমান্ত পেরিয়ে দেশটিতে প্রবেশের পর তাকে নিয়ে দেশটির পক্ষ থেকে এটি প্রথম মন্তব্য। যদিও এর সত্যতা কতটুকু স্বাধীন তদন্ত করতে পারেনি বিবিসি।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পেছনে ট্রাভিসের কোনও উদ্দেশ্য আছে। উ. কোরিয়ায় প্রবেশের আগে হামলার অভিযোগে দ. কোরিয়ায় দুই মাস বন্দি ছিলেন। সাজা কাটিয়ে ১০ জুলাই মুক্তি পান। কিন্তু সেনাবাহিনীতে নিয়ম ভঙ্গের জেরে শাস্তির মুখোমুখি হতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে অবৈধভাবে আন্তঃকোরিয়া সীমান্তের বেসামরিকীকরণ অঞ্চল অতিক্রম করে। যেটি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্ত করেছে। এই জায়গাটি খুবই স্পর্শকাতর।

কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘তাকে নিয়ে বিস্তর তদন্ত হয়েছে। ট্র্যাভিস কিং স্বীকার করেছেন নিজ থেকেই উ. কোরিয়া আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার অভিযোগ, সে মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে অমানবিক আচরণ ও জাতিগত বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন।’

তদন্তে তিনি আরও বলেছেন, উ. কোরিয়া বা তৃতীয় কোনও দেশে শরণার্থী হওয়ার ইচ্ছা।

তার নিরাপত্তা ও ফিরিয়ে আনতে জুলাইয়ে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসে জাতিসংঘ কমান্ড।

সমাজতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়া রাশিয়া, চীনসহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া পুরো বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কিম জং উন সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে দেশটিতে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ