লালমনিরহাট প্রতিনিধি॥
কথায় বলে ফোঁড়ার উপর বিষ ফোঁড় এমনি এক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন লালমনিরহাটের ভ’মিহীন রিক্সা চালক রবিউল ইসলাম। তার ৭ বছরের শিশুর ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পায়ের হাড় খুলে পড়ে। এ ভুমিহীন রিক্সা চালকের ৭ বছরের শিশু হাফিজুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকোলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ। অসুস্থ শিশু হাফিজুর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের ভুমিহীন রিক্সা চালক রবিউল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় র্ব্যাক শিশু নিকেতনে প্লে শ্রনীর মেধাবী ছাত্র। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অজয় কুমার জানান, সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব সিরাজুল হক খান টেলিফোনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অসুস্থ শিশু হাফিজুরের খোঁজ খবর নেন এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে হাফিজুরের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।ইতোমধ্যে শিশু হাফিজুরের পায়ে রড লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার পৌছলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্তনেয়া হবে।
উল্লেখ্য, শিশু হাফিজুরের বাম পায়ে গিড়ালীতে ফোরা ফেটে গিয়ে আলসার দেখা দেয়। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে পায়ের হাড় মাংস খুলে পড়তে শুর করে। চোখের সামনে একমাত্র ছেলের করুণ আর্তনাদে রিক্সা চালক বাবা রবিউল ইসলাম রিক্সা বিক্রি করেও সুস্থ করাতে পারেন নি। ভিক্ষা করা যত সামান্য অর্থে ছেলেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকে প্রকাশিত সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে ভিক্ষা করছে রিকশাচালক বাবা এরই প্রেক্ষিতে অসুস্থ শিশু হাফিজুরের বিষয়টি জানতে পারেন। পরক্ষনে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন তারা। শিশুটির উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যাপারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় শিশু হাফিজুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তার আনুসাঙ্গিক খরচ বহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, শিশু হাফিজুরের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যাপারে নিয়মিত খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ তার চিকিৎসা করলেও আনুসাঙ্গিক খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন। তবে হাফিজুরের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া আর্শিবাদ কামনা করেন তিনি।