চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে সকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৭টি দাবি আদায়ে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
অমিনিবাসকে বেআইনিভাবে লোকাল গ্যারেজে মডিফাই করে স্লিপার কোচ নাম দিয়ে বিআরটিএর অনুমোদন ও পারমিট ছাড়া দ্বিতল গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা, চট্টগ্রাম জেলার বাইরে থেকে আসা এসি/নন এসি বাসগুলোতে লোকাল রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা, মহাসড়ক ও উপ-সড়কে অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা, টমটম, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করা, মহাসড়কের পাশে অবৈধ হাটবাজার উচ্ছেদ, ঢাকা-চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে ‘জরিমানা বৈষম্য’ নিরসন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, পুলিশের রিকুইজিশন বাণিজ্য বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির সর্বমোট ৭টি দাবি আদায়ে এই পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
এদিকে ভোর থেকে হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট শুরুর কারণে সাধারণ যাত্রী, শিক্ষার্থী ও পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়।
বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট চলার কারণে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে, দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত ইজিবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে, আমাদের প্রচুর সময় ও শ্রম নষ্ট হচ্ছে।
পরিবহন ধর্মঘট শুরুর কারণে সকাল থেকে বান্দরবান সদরের বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ কোনো সড়কে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি, ঠিক তেমনি অন্য জেলা থেকে বান্দরবানে কোনো বাস প্রবেশ করতে পারেনি।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দিনের বাসের সকল টিকিট বাতিল করেছে বাস কর্তৃপক্ষ।
বান্দরবান শ্যামলী বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আমাদের সকালের কোনো বাস বান্দরবান থেকে ছাড়তে পারছি না। অনেক যাত্রী হয়েছে, তবে সবাইকে রাতে টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
ভোর ৬টা থেকে শুরু এই ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান, কক্সবাজার জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার ২০টি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।