স্বপ্নের মতো প্রত্যাবর্তন। শেষ সময়ে আরো একবার জ্বলে উঠলো নেদারল্যান্ডস। যখন মনে হচ্ছিল, ইনিংস শেষ হওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র, সেখান থেকে বেশ দাপটের সাথে ঘুরে দাঁড়ায় ডাচরা। যা শ্রীলঙ্কা তো বটেই, ভাবতে পারেনি হয়তো তাদের নিজ সমর্থকরাও।
অথচ দিনের শুরুটা ছিল শ্রীলঙ্কার। লঙ্কান পেসে কপোকাত হয় নেদারল্যান্ডস। ধস নামে ব্যাটিং লাইনআপে। কাসুন রাজিথা আর মাদুশঙ্কার জবাব খোঁজে পাননি অ্যাকারম্যান-স্কট এডওয়ার্ডসরা। দলের সংগ্রহ তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই হারায় ৬ উইকেট।
মাত্র ৯১ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। শেষ ৩ উইকেটে যোগ করে ১৭১ রান। তাতে নেদারল্যান্ডস পেয়ে যায় অবিশ্বাস্যভাবে বেশ ভালো সংগ্রহ। ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে এসে ২৬২ রানে অলআউট হয় ডাচরা। এঞ্জেকবার্চ ৭০ ও ভ্যান বিক খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস।
ভারত রত্ন স্টেডিয়ামে শনিবার টসে জিতে আগে ব্যাট করার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। তবে নেদারল্যান্ডসকে দাঁড়াতে দেননি রাজিথা। প্রথম তিন উইকেটের সবগুলোই নেন তিনি। বলার মতো রান পান কেবল অ্যাকারম্যান। ৩১ বলে ২৯ রান করেন তিনি।
এরপর আঘাত আনেন মাদুশঙ্কা। ডাচদের মেরুদণ্ড ভাঙার কাজটা তিনিই করেন। পরপর দুই ওভারে তুলে নেন ২ উইকেট। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। পরের উইকেটটি নেন মাহেশা থিকসানা। ডাচ অধিনায়কের স্ট্যাম্প ভাঙেন তিনি। ১৬ রান আসে স্কটের ব্যাটে।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। সপ্তম উইকেট জুটিতে ভেন বিক ও শীব্রান্ডের ব্যাটে শুরুতে বিপর্যয় এড়িয়ে যায়। এরপর শুরু করে পাল্টা আক্রমণ। তাদের জুটিতে যোগ হয় ১৩০ রান। ৮২ বলে ৭০ করে এঞ্চেলবার্চ ফিরলে ভাঙে জুটি। মাদুশঙ্কার শিকার হন তিনি। পরে আর কেউ ইনিংস বড় করতে না পারলেও অনায়াসে আড়াইশো পেরিয়ে যায় সংগ্রহ। ৪৯ তম ওভারে ৭৫ বলে ৫৯ রান করে রাজিথার চতুর্থ শিকার হন ভিক। এরপর মাদুশঙ্কা শেষ উইকেট তুলে নিলে ২৬২ রানে থামে ডাচদের ইনিংস।