• বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

মহাসমাবেশ করতে ইসলামী আন্দোলনকে অনুমতি, তবে ২০ শর্ত।

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩
ইসলামী আন্দোলন ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীতে মহাসমাবেশের অনুমতি পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৩ নভেম্বর এ মহাসমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ মহাসমাবেশের অনুমতির জন্য ২০ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

শর্তের মধ্যে রয়েছে- অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত করা যাবে না। আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে। অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১০ ঘটিকা হতে ১৬ ঘটিকা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। পথের মধ্যে রাস্তার কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। উস্কানিমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এর আগে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে ছাত্র ও যুব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ৩ নভেম্বর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন।

গত ২৭ অক্টোবর সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ