জেলা জুড়ে চলছে শীতকালীন শাক-সবজির চাষাবাদ। ক্ষেতে নতুন ফসল লাগানো, পরিচর্যা ও বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত কৃষক। আবার আগাম জাতের সবজি উঠতে শুরু করেছে। কিছু এলাকায় জমি থেকে সবজি তুলে বাজারে বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত কৃষক। অগ্রায়নের সকালের হালকা কুয়াশা মনে করিয়ে দিচ্ছে, শীতের আগমনী বার্তা। এরইমধ্যে উপজেলার সর্বত্র শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি আবাদ। অনুকূল আবহাওয়ায় সবজির উৎপাদন ভালো হওয়ায় ও বাজার দর ভালো পেলে আবাদে লাভবান হবেন চাষিরা। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। সবুজে সবুজে ভরে উঠছে মাঠ।
বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ। শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটল, পালং ও লালশাকসহ হরেক রকমের শীতকালীন সবজির চারা। তাই মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা। কাক ডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানি, বালতি, স্প্রে মেশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন কৃষকরা। বিকেল অবধি মাঠে থেকে চারার গোড়ায় পানি ঢেলে সবাই বাড়ি ফিরছেন। তাদের কেউ দাঁড়িয়ে কোদাল চালাচ্ছেন। অনেকেই গাছের গোড়ালির পাশ দিয়ে ঘুরাচ্ছেন নিড়ানি। কেউবা খালি হাতেই গাছগুলো ঠিক করছেন। কেউ আবার নেতিয়ে পড়া চারার স্থলে সতেজ চারা প্রতিস্থাপন করছেন। এভাবে শীতকালীন সবজি নিয়ে চলছে কৃষকের কর্মযজ্ঞ। বেড়েই চলছে কৃষকদের কাজের চাপ।
বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। তবে সেবায় ক্রটি করা যাবে না। কিন্তু রোগবালাই দমনে সবজিতে কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করতে হয়। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, শীতকালীন সবজি চাষের উচ্চ ফলনশীল নতুন নতুন জাত আসায় এ আবাদে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। গতবছরের তুলনায় এবার সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। চাষ পদ্ধতি, ভালো জাত ও রোগ বালাইসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তিনি আরো জানান, উৎপাদিত সবজি জেলার সবজি চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলাতে সরবরাহ করা হবে।