বদিউদ-জ্জামান মুকুল সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) নির্বাচনী আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন যারা। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা শুরু না হলেও প্রার্থীরা ঘরে বসে নেই। এবারের ভোট যেন অগ্নিযুদ্ধ। তাই তারা নিজেকে যোগ্য, কর্মঠ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে ভোটারদের সামনে গিয়ে উপস্থাপন করছেন। ওই সংসদীয় আসনে নির্বাচনী দামাডলে মেতে উঠেছে ভোটাররা। ওই সংসদীয় আসনের ভোটারদের দাবি শাহাজাদী আলম লিপি একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। তাকে ভোট দিলে উন্নয়ন উৎপাদনের ধারা অব্যাহত থাকবে। জনপ্রিয়তায় লিপি সকল প্রার্থীর চেয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন।
উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট আয়োজন করতে কিংবা ভোট কেন্দ্রে ভোটার বৃদ্ধি করতে প্রার্থীরা আগে ভাগেই প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। প্রার্থীরা ঘরে বসে নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেকে যোগ্য, কর্মঠ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে কথা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি ভোট কেন্দ্রে ভোটার বৃদ্ধি করতে প্রার্থীরা এখন থেকেই পুরোদমে প্রচারণায় নেমে পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট দোয়া প্রার্থনা করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে বগুড়া-১ আসন। ওই সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১০৯ জন। ২২৪ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ওই সংসদীয় আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করেছেন। বৈধ প্রার্থীরা হচ্ছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী সাহাদারা মান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শোকরানা, মেধা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংবাদ সংযোগ পত্রিকার সম্পাদক শাহাজাদী আলম লিপি, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সদস্য সচিব ও মুখপাত্র কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান, ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ, জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বাবু, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এনএম আবু জিহাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোনের প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাসদের প্রার্থী এড. হাসান আকবর আফজল হারুন।
এবারের ভোট একটি অগ্নি পরীক্ষা। সেই ভোটে পাস করতে প্রার্থীরা এখন থেকেই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও প্রচারণা শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেছেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণায় নামতে পারবেন।