বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার মন্তব্যের প্রতিবাদে চলমান সংলাপ বয়কট করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নেয়ার আড়াই ঘণ্টা পর তা বয়কটের ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
এ সময় জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে দেয়া বক্তব্যের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেন বঙ্গবীর।
এ সংলাপে সিইসি সভাপতিত্ব করছিলেন। এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সংলাপে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সেনা মোতায়েন করাসহ ১৮ দফা দাবি তুলে ধরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
একপর্যায়ে রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে সিইসির দেয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন কাদের সিদ্দিকী।
এর পর ইসির সংলাপ ভ্যেনু থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী। এ সময় তার স্ত্রী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসরীন সিদ্দিকীও সঙ্গে ছিলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ ২৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সিইসির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং পদত্যাগ দাবি করেছি।
তিনি বলেন, সিইসি গতকাল বলেছেন- জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। যদি জিয়াউর রহমান এটি করে থাকেন, তা হলে কেউ না কেউ বহুদলীয় গণতন্ত্র হত্যা করেছে। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ একমত নয়। সিইসি এ কথা বলতে পারেন না। সিইসি অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এককভাবে এ কথা বলেছেন।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী জানান, সিইসির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালে তিনি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেছেন গতকাল যারা (বিএনপি) সংলাপে এসেছিল, তাদের ভালো কাজগুলো ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, রোববার সিইসি বলেছিলেন- ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৯ বছর পূর্বে ১৯৭৭ সালে অত্যন্ত দৃঢতার সঙ্গে বিএনপি গঠন করেন। সে দলে ডান, বাম, মধ্যপন্থী সব মতাদর্শের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে একত্র করেন। তার মধ্য দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।