গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে ঠাণ্ডায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত। বিপাকে পড়েছে শিশু বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছে। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
রবিবার দুপুর ১২টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনেই তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিহাটের বেশ কিছু এলাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত দুদিনের কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। মহাসড়কগুলোতে দেখা গেছে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে।
অপরদিকে অনেকেই ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষকদের ভুট্টা, আলুর ক্ষেতে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জয়নুল আবেদীন বলেন, গত দুইদিনে অতিরিক্ত শীত পড়েছে। এমন অবস্থা ৭ দিন থাকলে মানুষ অবস্থা কাহিল হয়ে পড়বে।
ভ্যানচালক আবেদ আলী বলেন, এই ঠাণ্ডায় কোনো যাত্রী নাই। পেটের দায়ে ঘর থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় শীতের তীব্রতাটা বেশি থাকে। কয়েকদিন থেকে হালকা হালকা শীত চলার পর গত দুইদিন থেকে প্রচুর শীত শুরু হয়েছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়ছে। ডিসির কাছে দ্রুত শীত বস্ত্রের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, গত দুই দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। খুব শিগগিরই হতদরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।