মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরিতে পানি প্রবেশ করে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত হয়ে যায় রজনীগন্ধা নামের ইউটিলিটি ফেরি। ফেরিতে থাকা নয়টি যানবাহনের মধ্যে তিনটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বাকি যানবাহনসহ ফেরির সহকারী মাস্টারের কোনো হদিস পায়নি।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক (মেরিন) আব্দুর রহিম। ডুবে যাওয়া ফেরি পদ্মা নদীতে ভাসাতে ওয়ারিংয়ের কাজ করছে প্রত্যয়ের স্টাফসহ ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনী ডুবুরি দল।
তিনি আরও বলেন, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কুয়াশার কারণে নোঙর করা অবস্থায় নয়টি যানবাহন নিয়ে ধীরে ধীরে পানির নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা আসে এবং তার পরদিন আরও একটি জাহাজ রুস্তম উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়।
সর্বশেষ গতকাল (১৯ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রত্যয় নামের আরও একটি উদ্ধারকারী জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে। প্রত্যয় এখন ডুবে যাওয়া ফেরির নিচ দিয়ে লিফটিং পদ্ধতিতে সলিংয়ের কাজ চলমান আছে সকাল থেকে। এখন পানির নিচে ওয়ারিংয়ের কাজ করবে।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুর রহিম বলে, আপনারা জানেন আমাদের প্রত্যয়ের ক্ষমতা আড়াইশো টন কিন্তু ফেরিটি ওজন দুইশত ৮০ টন। অন্যদিকে কাঁদা বালু ঢুকে ডুবে যাওয়া ফেরির ওজন আরও কিছুটা বেড়ে গেছে। এখন ডুবে যাওয়া ফেরিতে বেলুন ঢুকিয়ে প্রেসার দিলে হয়ত চাপ কিছুটা কমকনো যাবে। আশাকরি গত দুই একদিনের ভেতর আমরা ফল পাবো।